• রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১১:৫৫ অপরাহ্ন

জাহাজটি সোমালিয়ায় নিচ্ছে দস্যুরা

তাজাখবর২৪ ডেস্কঃ
Update : বুধবার, ১৩ মার্চ, ২০২৪

বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে ছিনতাইয়ের পর সোমালিয়া উপকূলের দিকে নিয়ে যাচ্ছে জলদস্যুরা। খুবই ধীরগতিতে উপকূলের দিকে এগোচ্ছে জাহাজটি। ২৪ ঘণ্টা পার হলেও গতকাল বিকাল পর্যন্ত জলদস্যুদের পক্ষ থেকে মুক্তিপণ বা অন্য কোনো দাবি জানিয়ে যোগাযোগ করা হয়নি। জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের সহযোগী সংস্থা এসআর শিপিং জাহাজের ২৩ নাবিকসহ জাহাজটি উদ্ধারে অব্যাহতভাবে জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। শেষ খবর পর্যন্ত নাবিকরা সুস্থ আছেন।

গতকাল বিকালে জাহাজের মালিক এসআর শিপিংয়ের মূল কোম্পানি কবির গ্রুপের মিডিয়া ফোকাল পারসন মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে আমরা জলদস্যুদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। এখনো কোনো যোগাযোগ স্থাপন করা যায়নি।’ তিনি বলেন, ‘জলদস্যুরা জাহাজ ছিনতাইয়ের পর আগে নিরাপদ জায়গায় যায়। তারপর সেখান থেকে নিজেদের ডিমান্ড জানায়। এখন পর্যন্ত জলদস্যুরা তাদের কোনো ডিমান্ড আমাদের জানায়নি। আমাদের অগ্রাধিকার হলো নাবিকদের অক্ষত অবস্থায় মুক্ত করা। তারপর জাহাজ অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা। আমাদের কর্মকর্তারা কয়েকজন নাবিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম হয়েছেন। তারা আমাদের জানিয়েছেন, জলদস্যুরা জাহাজটি সোমালিয়ায় নিয়ে যাচ্ছে এবং তাদের কোনো ক্ষতি করেনি।’ নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম গতকাল ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এমভি আবদুল্লাহ উত্তর-পশ্চিমমুখী হয়ে সোমালিয়া উপকূলের দিকে ধীরগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় দুপুর নাগাদ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি সোমালিয়া উপকূল থেকে প্রায় ৫০০ নটিক্যাল মাইল দূরে হাইজ্যাক হয়। পাইরেসি হওয়ার পর ইউকেএমটিওর যে অ্যালার্ম সেটা এসেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩৭ মিনিটে জাহাজটি উত্তর-পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল। গতকাল ভোর ৪টা ২৮ মিনিটে আরও উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয় সোমালিয়া উপকূলের দিকে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী থেকে সর্বশেষ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের যে অবস্থান জানা গেছে, তা উল্লেখ করে নৌপরিবহন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, মঙ্গলবার দুপুর ১টা ৩৩ মিনিটে জাহাজটি উপকূল থেকে ৫৭০ নটিক্যাল মাইল দূরে ছিল। গতকাল সকাল ৬টা ৩৮ মিনিটে ছিল উপকূল থেকে ৪৮০ নটিক্যাল মাইল দূরে। অর্থাৎ জাহাজটি খুব ধীরে ধীরে সোমালিয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। জলদস্যুদের পক্ষ থেকে এখনো কোনো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। যেহেতু তারা যোগাযোগ করেনি, তাই মুক্তিপণ বা কোন উদ্দেশ্যে তারা এটা করেছে জানা যায়নি। নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং সিনিয়র সচিবের নির্দেশনা অনুসারে আমরা বাংলাদেশে যত অথরিটি আছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। একদিকে যেমন ডিপ্লোম্যাটিক এফোর্ট চলমান রয়েছে, অন্যদিকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বেশ কিছু দেশের সঙ্গে বাইলেটারেল ট্রিটি রয়েছে। সেটা ব্যবহার করে সামগ্রিকভাবে যতগুলো পদ্ধতিতে জাহাজ ও এর নাবিকদের মুক্ত করা যায়, সে লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি।


More News Of This Category