শিশু ধর্ষণের শাস্তি ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা

শিশু ধর্ষণের শাস্তি ছয়টি জুতার বাড়ি ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় গত ৫ জানুয়ারি ধর্ষণের শিকার হয় ছয় বছরের এক শিশু। বিষয়টি নিয়ে গ্রামের মাতবররা সালিশ বৈঠকে বসেন। সেখানে শাস্তি হিসেবে অভিযুক্ত বাবুল মিয়াকে ছয়টি জুতার বাড়ি এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এই বিচার মানতে চায়নি ভুক্তভোগীর পরিবার। তবুও জরিমানার ৫ হাজার টাকা শিশুটির নানির হাতে জোরপূর্বক ধরিয়ে দেন মাতবররা। সেই সঙ্গে তারা হুমকি দিয়ে বলেন, সালিশের বিচার না মেনে থানায় গেলে বসতভিটা ছাড়তে হবে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিশুটির নানি জানান, ধর্ষণের ঘটনাটি গ্রামের মাতবরদের জানালে তারা সালিশ বৈঠক ডাকার পরামর্শ দেন। আর মাতবরদের কথা অমান্য করে পুলিশের কাছে অভিযোগ করলে ক্ষতি হতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়। এই ভয়ে ঘটনার ১৫ দিন পর সালিশ ডাকেন ভুক্তভোগীর নানি। সেখানে বাবুলকে ছয়টি জুতার বাড়ি এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বাবুলের পরিবার থেকে প্রতিনিয়ত হুমকি দেওয়া হচ্ছে– এ বিষয়ে মুখ খুললে গ্রামছাড়া করা হবে।

সালিশে থাকা একজন বলেন, সালিশের পর অভিযুক্তর কাছ থেকে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহীন মিয়াসহ ছয় মাতবরের জন্য নেওয়া হয় আরও ৫ হাজার টাকা। সেই টাকা থেকে শাহীন, জাফর আলীর ছেলে বাবুল, সৈয়দ আলীর ছেলে বাবুল ও শাহজালাল নেন ১ হাজার করে। বাকি ১ হাজার টাকা দেওয়া হয় কবির ও সাগরকে।

এ বিষয়ে শাহীন বলেন, সালিশে জুরি বোর্ড পরিচালনা করেছেন ছন্দু মিয়া, রেনু মিয়া, সাগর, রাজু ও কবির। পরে বিচারের রায় অনুযায়ী অভিযুক্তকে তার বড় ভাই জুতাপেটা করেন এবং জরিমানার ৫ হাজার টাকা শিশুটির নানির হাতে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

রোববার মুরাদনগর থানার ওসি জাহিদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।