কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ৩

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শওকত হোসেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সদর উপজেলার দেপাড়া বাজার এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। কিছু সময়ের জন্য তারা বাগেরহাট-চিতলমারী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করে। জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলার শিকার হন শওকত হোসেন ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে শওকত হোসেনকে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়। শওকত হোসেনের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেলে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আফজাল হাওলাদারের অনুসারী হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হায়দার আলীকে আটক করে। এরপর উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা বাগেরহাট-চিতলমারী সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান, যার ফলে দেপাড়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। নিহত শওকত হোসেনের ভাই লিয়াকত হোসেন জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়, এতে তার ভাইসহ ১৫ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় শওকত হোসেনকে ঢাকায় পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হাওলাদার বলেন, শওকতের উপর হামলার সঙ্গে আমি বা আমার অনুসারীরা জড়িত নই। কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের বিষয়টি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে এবং ২-১ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে। কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতোমধ্যে আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।

কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে বিএনপি নেতার মৃত্যু, আটক ৩

বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলা ধোপাখালি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের জেরে আহত বিএনপি নেতা শওকত হোসেন (৫০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

শওকত হোসেনের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সদর উপজেলার দেপাড়া বাজার এলাকায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। কিছু সময়ের জন্য তারা বাগেরহাট-চিতলমারী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে খুনিদের ফাঁসির দাবিতে স্লোগান দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং সংঘর্ষে জড়িত সন্দেহে বিএনপির তিন কর্মীকে আটক করে।

জানা গেছে, গত ১১ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলনকে কেন্দ্র করে প্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলার শিকার হন শওকত হোসেন ও তার অনুসারীরা। এ ঘটনায় ১৫ জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে শওকত হোসেনকে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল, পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার পপুলার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ৯ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তার মৃত্যু হয়।

শওকত হোসেনের মৃত্যুর পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিকেলে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা আফজাল হাওলাদারের অনুসারী হায়দার আলীর গ্রামের বাড়ি ঘেরাও করে। পুলিশ ও সেনাবাহিনী দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে হায়দার আলীকে আটক করে। এরপর উত্তেজিত বিএনপি কর্মীরা বাগেরহাট-চিতলমারী সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান, যার ফলে দেপাড়া বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।

নিহত শওকত হোসেনের ভাই লিয়াকত হোসেন জানান, প্রতিদ্বন্দ্বী আফজাল হাওলাদারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তাদের ওপর হামলা চালায়, এতে তার ভাইসহ ১৫ জন আহত হন। গুরুতর অবস্থায় শওকত হোসেনকে ঢাকায় পাঠানো হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে আফজাল হাওলাদার বলেন, শওকতের উপর হামলার সঙ্গে আমি বা আমার অনুসারীরা জড়িত নই।

কচুয়া উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব এস এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের বিষয়টি জেলা বিএনপির পক্ষ থেকে তদন্ত করা হচ্ছে এবং ২-১ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশেদুল ইসলাম জানান, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনাস্থলে রয়েছে এবং পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইতোমধ্যে আফজাল গ্রুপের সদস্য হায়দার আলীকে তার গ্রামের বাড়ি থেকে আটক করা হয়েছে।